ক্ষণিক দেহে ঘামের স্রোত বেয়ে
কত হয়রান বয়ে চলে যবনিকা না টেনে।
ঘাসের বিছানা পেতে যত অপেক্ষা
বুক পেতে নিতে জড়ায়েছে সেই বুকে;
দীর্ঘকাল বসত করে গৃহহীন জলরাশি
দুহাত পেতে তৃষিত, তবুও দুই কূল মনের মতোই...
আমাকে যদি শেকল বেঁধে দিয়ে বলো—
স্বাধীনতা দিলাম, চলে যাও।
আমি বুঝব আকাশের সীমানা নেই
তবুও খাঁচার পাখির পরাধীনতা খাঁচাই।
বিষণ্ন মায়ার স্পর্শ যেমন অশ্রুসিক্ত
শহরের যেমন কান্নার রাতদিন নেই
তেমনি আমার ধূসর চোখ পাণ্ঠু্লিপি মুছে ফেলে;
একটানা ক্রোধ নক্ষত্রের মতো ঝুলে থাকা
ঐশ্বর্য অধর—প্রস্রবণতিক্ততা পারস্পরিক বৈরী।
শেষ বিকেলে চায়ের সাথে তোমার মোহনীয় দেহ
আমাকে তছনছ করে দেয় উদ্বেলিত মনন।
পিপাসাকাতর দেহ, তবু হাত পেতে বলে
শুক্লা, একটু ভালোবাসার স্পর্শ দিয়ো মোরে
শেষ বিকেলে চায়ের কাপে…
১১ আগস্ট ২০২৩, শংকর, ঢাকা
Title Text
মন্তব্য লিখুন
মন্তব্য করতে লগইন করুন।
মন্তব্য সমুহ
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।