নিস্তব্ধ রাতের অন্ধকারে…
হঠাৎ ঝিরঝিরে হাওয়ার ডানায় অনুভূত সংশয়
জড়িয়ে ধরে বিস্মৃত বোধের খেয়ালি অবয়ব।
হুতোম জেগেছে রাত্রি শিরীষের মগডালে
সে ছাড়া আর আমি কিংবা ইঁদুর-সাপের খেলা
জোনাকির এলোমেলো নীলাভ আলোর বিকীর্ণ
কারও দোরবন্ধ চৌকাঠ পেরিয়ে জড়িয়ে আছে শৃঙ্গার;
এতসব আস্তীর্ণ সজ্জাহীন জাগ্রত চোখের খতিয়ান
মনের অনুরণন, তবুও গহন করে বিস্মৃত মুখাবয়ব।
তাকে মনে পড়ে...
বিভোর একঝাঁক পাখির নীড়ে ফেরার কোলাহলে
দাঁড়িয়ে থেকে সন্ধ্যা নামে রাত নামক একাকিত্বের ঘোর;
শুক্লার শরীরী রেশমি আস্তরণ গড়ায় ফেরারি শরীরে।
শ্বেতপাথরের শীতল পাটাতন প্রতিবিম্ব হয়ে
সাথে সাথে চলে যুগের পর যুগ সন্তর্পণে অনুচরের পায়ে।
তবুও অনাদরে দিশেহারা মুখের আদল পরাস্ত
চিরকাল বুঝি শেকল পরার গান গেয়ে যায়—
মনে পড়া পরিশ্রান্ত দেহাবরণ অন্তর্যামী ভাস্কর্য।
দেবালয়ে বিচরিত মন চিরবধির পীড়িত
আমি উপাসক হতে চেয়ে ফিরেছি বারে বারে—
ধূসর হৃদয়ে তাকেই মনে পড়ে;
এমন অনিভৃত মন যপিতে যপিতে
হাঙর খেলেছে ডাঙায় আজীবন পরাভূতে।
১৯ আগস্ট ২০২৩, শংকর, ঢাকা
Title Text
মন্তব্য লিখুন
মন্তব্য করতে লগইন করুন।
মন্তব্য সমুহ
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।