আকাশ দেখার ইচ্ছেটা সেই ছোট থেকেই,
কোমল মনের সাধ বড় হতে হতে
একদিন আকাশ ছুঁতে চায়।
রাস্তা, অলিগলি, শহরের জানালা একটু সুযোগ পেলেই,
ফাঁক-ফোকরে আকাশ দেখে ফেলে নির্মোহ চোখ;
এ স্বভাব মানুষের; যারা আকাশ দেখে রোজ রোজ।
মনের প্রতিরোধে নিত্য ক্লান্ত পায়ের পথ,
একলা আকাশ ক্ষরণের দ্রোহে শুধু ধরা দেয় শহরের ছাদ,
নারীর মতো অবিনাশী টান জড়িয়ে ধরে বিদীর্ণ আকাশ।
আকাশের বাহু মানুষের শেষ আশ্রয় হলে
চোখ - কতদূর দেখতে পারে শুভ্র মেঘের বাতাস?
মন - কতটা শুনতে পারে শব্দ;
অনুনাদ মায়াজাল পাহারের ভাঁজে,
গহীন বনে অথবা গভীর সমূদ্রের চরাচরে?
সোঁদা অভিমান শুক্লার হাত সূর্য আভারিত করে পৃথিবীর ওপারে,
সেখানে পায়রার ডানা চিকচিক করে।
এখানে রাতের আকাশে নক্ষত্রপাত,
আমি আর শুক্লা; রাতের আকাশে নিঃসঙ্গতা দেখে ফেলি।
তখনও অন্য আকাশে পৃথিবীর ওপারে
আলোময় বাহু প্রেমিকের হাত ধরে ডাকে;
তবে কি তারাও ভালোবেসে আঁধার নেবে আলিঙ্গনে?
কেনো তবে আবার আমার আকাশে ফিরে আসে
চিলের ডানা আর পায়রার ধামালি!
তবে কি আকাশ দেখার বয়স করে আজীবন মিতালি?
সেই অজুহাতে দেখে চোখ প্রেমের বিরহ শুক্লার সংযোগ;
অতঃপর জীবন খোঁজে চিলেকোঠার ছাদে একা মন,
একা একা বসে থাকা যাযাবর সম্ভোগ।
Title Text
মন্তব্য লিখুন
মন্তব্য করতে লগইন করুন।
মন্তব্য সমুহ
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।